♥♥দুই রাকাত নামাজের নিয়ম
بِسْمِ اللہِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِیْمِ
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
* দুই রাকাত নামাজের নিয়ম সমূহ:
১. প্রথমে অজু করে পবিত্র হয়ে জায়নামাজে দাড়িয়ে জায়নামাজের দোয়া পরবে।
২. মনে মনে নিয়ত করুন, কোন ওয়াক্তের নামাজ এখোন আপনি পরবেন?
সুন্নাত,ফরজ,ওয়াজিব না নফল নিয়তে তা উল্লেখ করুন। তারপর আল্লাহ আকবর বলে তাকবীরে তাহরিমার পরে নারীরা বুকের উপর এবং পুরুষরা নাভীর উপরে হাত বাধঁবে।(বাম হাতের উপর ডান হাত)
৩. সানা পরবে ।
৪. এবার মনে মনে - আউজুবিল্লাহি মিনাশ শাইতানির রাজিম ও বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম পাঠ করুন।
৫.সূরা ফাতিহা পড়বে এবং তারপরে অন্য একটি সূরা মিলাবে।
৬. ধীর স্থিরভাবে রুকু ও দুই সিজদা করে উঠে দাড়াঁবে এবং পূর্বের ন্যায় হাত বাধবে।
৭. সূরা ফাতিহা পরবে এবং সাথে অন্য কোন একটি সূরা মিলাবে।
৮.সম্পূর্ণ ভাবে রুকু- সিজদা করবে এবং উঠে না দাড়িঁয়ে বৈঠকে বসবে। বৈঠকে তাশাহুদ ,দরুদ,মাসুরাহ্ পাঠ করে ডানে বামে সালাম ফিরিয়ে নামাজ সেষ করা।
♥♥ তিন রাকায়াত নামাজের নিয়ম
بِسْمِ اللہِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِیْمِ
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
তিন রাকায়াত নামাজ মূলত বিতরের নামাজ:-----
বিতর (وتر) শব্দটি আরবি। অর্থ হচ্ছে বিজোড়। এ নামাজ তিন রাকাআত বিধায় এটিকে বিতর বলা হয়। কেউ কেউ বিতরের নামাজ এক রাকাআতও পড়ে থাকেন।
ইশার নামাজের পরপরই এ নামাজ পড়া ওয়াজিব। আর রমজান মাসে তারাবিহ নামাজ পড়ার পর জামাআতবদ্ধভাবে ইমামের সঙ্গে বিতর নামাজ পড়া যায়। বিতরের নামাজ পড়ার ব্যাপারে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বিশেষ তাগিদ দিয়ে বলেন, বিতরের নামাজ পড়া আবশ্যক। যে ব্যক্তি বিতর আদায় করবে না, আমাদের জামাআতের সাথে তাঁর কোনো সম্পর্ক নেই। (আবু দাউদ)
বিতর নামাজ
অন্যান্য ফরজ নামাজের ন্যায় দুই রাকাআত নামাজ পড়ে প্রথম বৈঠকে বসে তাশাহহুদ পড়া। তারপর তৃতীয় রাকআত পড়ার জন্য উঠে সুরা ফাতিহার সঙ্গে অন্য কোনো সুরা বা আয়াত মিলানো। কিরাআত (সুরা বা অন্য আয়াত মিলানোর পর) শেষ করার পর তাকবির বলে দু’হাত কান পর্যন্ত উঠিয়ে তাকবিরে তাহরিমার মতো হাত বাঁধতে হয়। তারপর নিঃশব্দে দোয়া কুনুত পড়া। দোয়া কুনুত পড়ে পূর্বের ন্যায় রুকু, সিজদার পর শেষ তাশাহহুদ, দরূদ, দোয়া মাছুরা পড়ে ছালাম ফিরানোর মাধ্যমে বিতরের নামাজ সমাপ্ত করতে হয়।
সতর্কতা- তৃতীয় রাকাআতে দোয়া কুনুত না পড়ে সিজদায় চলে গেলে নামাজের শেষ বৈঠকে তাশাহহুদ পড়ে সাহু সিজদা করলেই চলবে। আবার ভুলে প্রথম বা দ্বিতীয় রাকাআতে দোয়া কুনুত পড়ে ফেললেও সাহু সিজদা দিতে হবে। সুতরাং বিতরের নামাজ অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আল্লাহ তাআলা উম্মাতে মুসলিমাকে নিয়মিত বিতরের নামাজ আদায় করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
♥♥ চার রাকাত নামাজের নিয়ম
بِسْمِ اللہِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِیْمِ
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
* চার রাকাত নামাজের নিয়ম সমূহ:
১. প্রথমে অজু করে পবিত্র হয়ে জায়নামাজে দাড়িয়ে জায়নামাজের দোয়া পরবে।
২. মনে মনে নিয়ত করুন, কোন ওয়াক্তের নামাজ এখোন আপনি পরবেন?
সুন্নাত,ফরজ,ওয়াজিব না নফল নিয়তে তা উল্লেখ করুন। তারপর আল্লাহ আকবর বলে তাকবীরে তাহরিমার পরে নারীরা বুকের উপর এবং পুরুষরা নাভীর উপরে হাত বাধঁবে।(বাম হাতের উপর ডান হাত)
৩. সানা পরবে ।
৪. এবার মনে মনে - আউজুবিল্লাহি মিনাশ শাইতানির রাজিম ও বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম পাঠ করুন।
৫.সূরা ফাতিহা পড়বে এবং তারপরে অন্য একটি সূরা মিলাবে।
৬. ধীর স্থিরভাবে রুকু ও দুই সিজদা করে উঠে দাড়াঁবে এবং পূর্বের ন্যায় হাত বাধবে।
৭. সূরা ফাতিহা পরবে এবং সাথে অন্য কোন একটি সূরা মিলাবে।
৮. আগের মতো রুকু- সিজদা করবে এবং উঠে না দাড়িঁয়ে বৈঠকে বসবে। বৈঠকে তাশাহুদ পরবে(১ম বৈঠক)
৯. আল্লাহ আকবর বলে উঠে দারিয়ে হাত বাঁধবে এবং সূরা ফাতিহা পাঠ করবে। ফরজ বাদে অন্য যে কোন নামাজে ফাতিহার সাথে সুরা মিলাতে হবে। কিন্তু ফরজ নামাজে মিলাণো যাবেনা।
১০ রুকু সিজদাহ করে সোজা হয়ে দাড়িঁয়ে হাত বাঁধবে। তৃতীয় রাকাতের নিয়মানুসারে সূরা পাঠ করবে।
১১.সম্পূর্ণ ভাবে রুকু- সিজদা করবে এবং উঠে না দাড়িঁয়ে বৈঠকে বসবে। বৈঠকে তাশাহুদ ,দরুদ,মাসুরাহ্ পাঠ করে ডানে বামে সালাম ফিরিয়ে নামাজ সেষ করবে।
0 Comments